পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০০৬

ইচ্ছে আগাছা

মনের বাগানে ইচ্ছে আগাছাগুলো বেড়ে চলেছে|
তাদের ফুলগুলো রঙ্গীন,
মধূময় গন্ধ;
তবু নীয়ম কেতাবে লেখা আছে ওগুলো আগাছা -
তাই ওদের প্রশ্রয় দেওয়া বারন|
মনের বাগানের আতিথী জেনো তাদের না দেখতে পায় -
মন বাগানের মালী তাই তাদের লুকিয়ে রাখে;
নীয়ম কেতাবে লেখা থাকলেও পারেনা তাদের নীর্মূল করতে|
তারা লুকিয়ে রয়েছে বড় গোলাপ ঝাড়ের ওপারে,
তারা ফূটে চলেছে আমবাগানের নিঝুম ছায়ায়;
গোলাপের চোখধাঁদানো রূপের ফাঁকেও তাদের ঊঁকি চোখে পড়ে,
আমের গন্ধ চিরে ভেসে আসে তাদের মিষ্টি গন্ধ|
নীয়ম কেতাবে ইচ্ছেগুলো আগাছা হয়েই রয়েছে -

গরল পাথর

পরশপাথর জানি যার ছোঁয়ায় কয়্লা হয় সোনার বরন,
সেই পাথরের নাম কি জানো জার পরশে পারিজাতেরো নিশ্চিত মরণ?

সে পাথর কি জার পরশে আতলান্তিক সাহারা মরূভূমি হয়-
যার ছোঁয়া হারকিউলিসের বুকে কালো আঁধার আতন্ক জাগায়?

মীরার প্রেমে শীতল নাগপাশ হয় মধূর পূষ্পমালা-
আর এর ছোঁয়ায় শিউলির মধূ হয় গোখরো বীষের জ্বালা|

তাকে আগূনে ফেলোনা আগূন খেয়ে জগত করবে অন্নবিহীন,
তাকে জলে ফেলোনা তৃষ্ণার্ত পৃথীবি হবে জন্মবিহীন|

পরশপাথর এসেছিল জাদুর ছোঁয়ায় তাকেও পাল্টে দিতে,
ভীষনভাবে হারতে চেয়েও এই লড়াই শেষে সেই গেলো কি জিতে?


মঙ্গলবার, অক্টোবর ০৩, ২০০৬

নীঝূমতলির গান

ঘুম পাহাড়ির পারে
খেয়ালি নদীর ধারে
নীঝূমতলি গাঁয়ে
ক্লান্তী ভরা পায়ে
ধোঁয়া জড়ানো সাঁঝে
ব্যাথার সঙ্খ বাজে
অধীর আকূল প্রান
পাগল করা টান
শূন্য বুকের মাঠ
শান্ত করা হাথ
য্খন বাঁধ মানে না মন
তখন পাবে আপনজন

প্রানের দেশ

বুকের মাঝে অনেক ভীড়ে
দাঁড়িয়ে থাকা শূন্যতা
সব্'ই আছে - নেই শুধু সেই
অনেক কাছের ঊষ্ণতা

অনেক পাওয়া জীবন আছে
খুঁজছি তবু আপন্জন
প্রানের খোঁজে মনের দাবী
অনেক চেনা আলীঙ্গন

স্বপ্ন নেশায় মন মেতেছে
নীয়ম যূক্তি আর কি মানে
পরশ পাথর পেতেই হবে
ছূট দিলো সে আকাশপানে

আমি আছি তুমিও আছ
জাগছে নতূন প্রানের রেশ
অনেক দূরে? দূর নয়তো
মোড় পেরোলেই প্রানের দেশ